শিরোনাম
চাটখিলের বাদুলী জামে মসজিদের নুতন কমিটি গঠন আদিলের ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও আদালতে আওয়ামীলীগের শ্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কোর্ট পি.পির কক্ষে তালা   ২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি একরামুল নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতাকর্মিদের স্লোগান হাতিয়ায় সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন ৭২-৭৫ সালের শাসনামলে মুজিববাদ ও রক্ষীবাহিনী মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়:সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ  লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আরিফ গ্রেপ্তার

ঘুম থেকে উঠলে দেখতাম অস্ত্র আমাদের দিকে তাক করা: নাবিক রাজু

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪
  • ১৯১২ Time View

স্টাফ রিপোর্টার-
রাতে আমরা বিজে ঘুমাতাম। যখন কোন নেভি শিপ যেত তখন জলদস্যুরা আরও সতর্ক হয়ে যেত। তখন তারা স্পেশালী আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখত। যার কারণে নেভি শিপ গেলে আমাদের আরো সমস্যা হতো। ট্রিগার টেনে অস্ত্র আমাদের দিকে তাক করত। সব চেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে ঘুম থেকে উঠলে চোখ খুললেই দেখতাম অস্ত্র আমার দিকে তাক করা।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজ এমবি আব্দুল্লাহর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু এসব কথা জানান।

রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।

জিম্মি থাকা ৩৩ দিনের স্মৃতি চারণ করে রাজু বলেন, শেষ যখন ওরা জানছে আমরা মুসলিম ছিলাম, তখন আমরা কিছুটা ছাড় পেয়েছি। মুসলিম হিসেবে ঈদের দিন ওরা আমাদেরকে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার সুযোগ দিয়েছে। ঈদের দিন জলদস্যুরা আমাদের ইঙ্গিত দেয় দুই এক দিনের মধ্যে আমাদের মুক্তিপণ আসবে। এরপর সহসায় আমাদের মুক্তি মিলবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজু বলেন, মুক্তিপণ কত দিয়েছিল এটা শুধু কোম্পানী আর বাংলাদেশ সরকার জানে। এ ছাড়া আর কেউ জানেনা। তবে আমরা বড় বড় তিনটি ব্যাগ জাহাজে ওপর থেকে পড়তে দেখেছি।

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের নাবিক রাজু প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার ১৪ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরেন। ওই সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি সময় পর রাজুকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা-বাবা। কেউ কেউ খুশিতে কাঁদতে থাকেন। এখন পরিবারে বইছে উৎসবের আমেজ। নাবিকদের দ্রুত সময়ে মুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাবিকের স্বজনরা।

ছেলের ফিরে আসার দিনক্ষণ আগেই জানা ছিল মা-বাবার। রাজুর বন্ধুরা চট্রগ্রাম থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন মা-বাবাসহ স্বজনরা। এতে অবসান ঘটে এক দীর্ঘ উৎকন্ঠার। একই সাথে পরিবারে লাগে উৎসবের আমেজ। সুস্থ ভাবে বাড়িতে ফিরতে পেরে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছে রাজু। ছেলের ফিরে আসায় মা রেধেছেন তার প্রচন্দের গরুর মাংস ও সামুদ্রিক মাছ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *