শিরোনাম
পল্লী মঙ্গল স্কুলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ ইনক এর পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি প্রকাশঃ- চাটখিলের বাদুলী জামে মসজিদের নুতন কমিটি গঠন আদিলের ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও আদালতে আওয়ামীলীগের শ্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কোর্ট পি.পির কক্ষে তালা   ২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি একরামুল নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতাকর্মিদের স্লোগান হাতিয়ায় সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন

দিনমজুর বাবার মেয়ের মেডিকেলে ভর্তির সাহায্যে এগিয়ে এলেন ইউএনও

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮৭৬ Time View

স্টাফ রিপোর্টার-
তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় জান্নাতুল ফেরদৌস। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলেও দিনমজুর বাবার সামর্থ্য নেই মেডিকেলে ভর্তি করানোর। মানুষের কাছে ঋণ নিয়ে মেয়ে ভর্তি করালেও হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে তার পাশে দাঁড়ালেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে জান্নাতুল ফেরদৌসের ঋণ পরিশোধের জন্য তার ভর্তির টাকা হাতে তুলে দেন তিনি। এ ছাড়া সবসময় পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।

জানা যায়, জান্নাতুল ফেরদৌস এ বছর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে বিডিএস এ ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তার বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে। তার বাবা একজন দিনমজুর। মেয়ের কীর্তিতে দিনমজুর বাবা লুৎফর রহমান খুশিতে আত্মহারা। কিন্তু মেয়ের পড়াশোনার খরচ কীভাবে জোগাড় করবেন, সেই ভাবনায় হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। তিন ভাই বোন এর মধ্যে জান্নাত সবার বড়। আর্থিকভাবে সচ্ছলতা না থাকায় অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে।

বিষয়টি জানতে পেরে জান্নাতের পাশে দাঁড়ালেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান।

জান্নাতের দিনমজুর বাবা লুৎফর রহমান বলেন, আমার মেয়ে অনেক কষ্ট করে আজ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। আমার সামর্থ্য না থাকায় মানুষের কাছে ঋণ করে তাকে ভর্তি করিয়েছি। আমি তার পড়াশোনা চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যার আমাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি জান্নাতের অভিভাবকের ভূমিকা রেখেছেন। এতে আমি অনেক খুশি।

খুশির কমতি নেই জান্নাতুল ফেরদৌসের মনেও। তিনি বলেন, আমার শিক্ষক ইউএনও স্যারের কাছে আমাকে নিয়ে এসেছেন। ইউএনও স্যার আমার ভর্তির খরচ দিয়েছেন। সব সময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি হয়েছি। বাবার কষ্ট দূর করতে আমি মানবিক চিকিৎসক হতে চাই। পাশাপাশি আমাদের মতো যারা দরিদ্র আছে, তাদের সেবা করতে চাই। আগে বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতাম। সেই খরচ যোগাতেই কষ্ট হতো। এখন সিলেটে গিয়ে পড়ালেখা করতে হবে।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌসের মতো মেধাবীদের দরিদ্রতা কখনো দমিয়ে রাখতে পারবে না মর্মে বিশ্বাস করি। তার একজন শিক্ষকের পরামর্শে বেগমগঞ্জ উপজেলায় এসেছে। তাৎক্ষণিক তাকে মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা প্রদান করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ডাক্তার হয়ে মানুষকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সে এর প্রতিদান দেবে। সে একজন মানবিক ডাক্তার হবে এইটুকু প্রত্যাশা তার কাছ থেকে। আমি তার সার্বিক সফলতা কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *