শিরোনাম
চাটখিলের বাদুলী জামে মসজিদের নুতন কমিটি গঠন আদিলের ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও আদালতে আওয়ামীলীগের শ্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কোর্ট পি.পির কক্ষে তালা   ২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি একরামুল নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতাকর্মিদের স্লোগান হাতিয়ায় সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন ৭২-৭৫ সালের শাসনামলে মুজিববাদ ও রক্ষীবাহিনী মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়:সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ  লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আরিফ গ্রেপ্তার

নোয়াখালী জেলা শহরে ৬৬৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে এক সাপ্তাহ সময় বেঁধে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৬০ Time View

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালী জেলায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর যাচাইয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে যান প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ।

এসময় অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন তিনি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এসময় নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানাও করা হচ্ছে। অভিযানের খবরে প্রায় জায়গায় দ্রব্যমূল্যের দাম কমতে শুরু করে। তবে অভিযান শেষে ফের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২২ র্মাচ) বিকেলে জেলা শহরের পৌর বাজারে অভিযানে যান সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ। তিনি ব্যবসায়ীদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান জানান।

এছাড়াও তিনি সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কোনও ব্যবসায়ী বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে ক্রেতাদের সেই বিষয়টি নোয়াখালী জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

অভিযানে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।পৌর বাজারের নিয়মিত ক্রেতা নুরুল আলম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসলেই দাম কম পাই। চলে গেলে যেই সেই। যেন চোর-পুলিশ খেলা। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।

পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের সব পণ্য অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। বড় বড় কোম্পানী সিন্ডিকেট করছে আর দোকানী ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই সবাই সহনীয় পর্যায়ে আসুক।

পৌর বাজারের গোশত বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছেন। আমরা গরুর গোশত ৮০০ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের এদিকে গরু পাওয়া যায় কম। উত্তরবঙ্গের গরু এখানে আসতে আসতে দাম বেশি হয়ে যায়।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত) আহসান হাফিজ বলেন, বেশিরভাগ দোকানেই মূল্য তালিকা নেই। ফলে পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গোশতের দোকানদারদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। তারা যদি সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি না করে তাহলে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *