শিরোনাম
চাটখিলের বাদুলী জামে মসজিদের নুতন কমিটি গঠন আদিলের ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও আদালতে আওয়ামীলীগের শ্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কোর্ট পি.পির কক্ষে তালা   ২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি একরামুল নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতাকর্মিদের স্লোগান হাতিয়ায় সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন ৭২-৭৫ সালের শাসনামলে মুজিববাদ ও রক্ষীবাহিনী মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়:সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ  লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আরিফ গ্রেপ্তার

এলকার মুসল্লিদের এবং মাজার অনুসারীর তোপের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হল একটি পরিবার

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৮ Time View

চাটখিল প্রতিনিধি :
আবারও এলাকার মুসুল্লিদের এবং মাজার অনুসারীদের তোপের মুখে নিজ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হল নোয়াখালীর চাটখিলের শ্রীপুর গ্রামের সেই বহুল আলোচিত হিন্দু মুসলিম সংঘাতে হত্যা মামলার আসামি ফারুক আমিনের পরিবার।
গতকাল (২০ আগস্ট) ফারুক আমিনের চাচা ( বাবার চাচাতো ভাই) আব্দুল ওদুদ মারা যাওয়ার খবর শুনে ঐ দিন রাতে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ফারুক আমিনের মাতা সেফা আমিন, স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার,
বড় বোন ইয়াসমিন আক্তার রুমি ও
ছোট বোন ফারজানা আইরিন তাদের নিজ বাড়িতে ফিরলে সকালে তার চাচার জানাজায় আসা এলাকার মুসুল্লিরা বিষয়টি জানাতে পারে।একপর্যায়ে এলাকার ক্ষুদ্ধ মুসল্লীরা তাদের ঘর ঘিরে পেলে। এই সময় মুসল্লিরা তাদের হুমকি দেয় যে, এক হলে এলাকা ছাড়তে হবে নইলে তাদেরকে পুড়িয়ে মারা হবে। মুসল্লিরা এ সময় ফারুক আমিন কেও খুঁজতে থাকে কিন্তু আত্ম গোপনে থাকা ফারুক তার পরিবারের সাথে আসেনি। এমত অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়।
প্রসঙ্গত যে, ২০২২ সালে ২রা নভেম্বরে ফারুক আমিনের বন্ধু রিপন কর্মকারের বাবার লাশ পোড়ানোকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় হিন্দু ও মুসলিমদের মাঝে সংগাতের ঘটনা। এই ঘটনায় ফারুক আমিন গং কে দায়ী করে ঐ ঘটনায় মৃত ইউচুফের বাবা রফিক উল্ল্যা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে করা হয় আরেকটা হত্যা চেস্টার মামলা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে করা দুইটি মামলা চলমান।এই ঘটনায় তাকে সম্পূর্ণ পাষানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের দাবি এই ঘটনায় ঐ সময়ে পুরো নেতৃত্ব দিয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলমের ভাগিনা নোয়াখালী জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মাসুদুর রহমান শিপন। ।ফারুক আমিন সে সময়ে জীবনের নিরাপত্তা চান রাষ্ট্রের কাছে। কিন্তুু রাষ্ট্র তাকে কোন রকম নিরাপত্তা দেয়নি। তারপর থেকে মামলা ও এলাকাবাসীর ক্ষোভের ভয়ে ফারুক আমিন ও তার পরিবার সম্পূর্ণ আত্মগোপনে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বর্তমান সময়ে মাসুদুর রহমান শিপন ও তার বাহিনী আত্মগোপনে চলে গেলেও ফারুক আমিনের উপর ক্ষুব্ধ কতিপয় উশৃংখল মুসল্লি এবং কিছু মাজার অনুসারী। এই ঘটনায় তাঁর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার থাকবে এবং তারা ফারুক আমিন কে পেলে হত্যারও হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে আমরা চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক কে ফোন করলেই তিনি জানান, ফারুক আমিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলাই চলমান রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে । আমরা তাকে খুজে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করবো। তবে তিনি ফারুক আমিনের পরিবারের সাথে গতকালকের ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *