শিরোনাম
চাটখিলের বাদুলী জামে মসজিদের নুতন কমিটি গঠন আদিলের ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও আদালতে আওয়ামীলীগের শ্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কোর্ট পি.পির কক্ষে তালা   ২ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি একরামুল নোয়াখালীতে আদালত প্রাঙ্গণে আ.লীগ নেতাকর্মিদের স্লোগান হাতিয়ায় সোনাদিয়া চৌরাস্তা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন ৭২-৭৫ সালের শাসনামলে মুজিববাদ ও রক্ষীবাহিনী মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়:সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ  লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আরিফ গ্রেপ্তার

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ইমারজেন্সি নাই ডাক্তার,মারা গেলেন একই হাসপাতালের কর্মচারী, তাৎক্ষনিক কর্মচারীদের কর্মবিরতি

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১২ মে, ২০২৪
  • ১১৬২ Time View

স্টাফ রিপোর্টার-
নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক না থাকায় একই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সৈকতকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

নিহত মো.হানিফ (৫৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চুতর্থ শ্রেণির কর্মচারি ছিল। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫নাম্বার ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা ১০মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত দুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল হাসপাতালের চুতর্থ শ্রেণির কর্মচারি হানিফ। রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিরা আধা ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে।

নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার ছিলনা তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলনা। এরপর তাকে দ্রæত ওয়ার্ডে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে সে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তাকে ইমার্জেন্সিতে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলনা।

তত্ত¡াবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়েছে। একই সাথে জরুরি ভাবে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *